নাটক- পাকে-বিপাকে, রচনা- মনোজ মিত্র, নির্দেশনা- সঞ্জীব কুমার দে স্থানঃ জাতীয় নাট্যশালা, শিল্পকলা একাডেমি। পদাতিক নাট্য সংসদের জনপ্রিয় প্রযোজনা ‘পাকে বিপাকে’ মনোজ মিত্রের রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন সঞ্জীব কুমার দে। নাটকের গল্পে দেখা যাবে- নিঝুম রাতে গ্রামের আল পথ ধরে কাঁপা গলায় গান গেয়ে এগিয়ে আসছে হাবলা জনার্দন। হঠাৎ তার আর্তচিৎকারে কেঁপে ওঠে বিলের চারিধার, যেন বিষাক্ত সাপ দিয়েছে ছোবল। জনার্দন ছুটে যায় এক লণ্ঠনের আলোর দিকে, যেখানে বসে আছেন জমিদার নবকৃষ্ণ। নবকৃষ্ণ বাবুর কুকীর্তি তুলে ধরে হাবলা জনার্দন। যেন তিন বছর আগের পুষে রাখা ক্রোধ মেটাচ্ছে সে। এদিকে জমিদার নবকৃষ্ণ ভয়ে অস্থির বর্গাদার পান্তু দাস তার ধান লুট করার পরিকল্পনা ঠেকিয়ে দেয় কিনা, সেই চিন্তায়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পান্থর ভাই ডালিমকে নিয়ে আসে নবকৃষ্ণ। এর মধ্যে অন্ধকার ভেদ করে বেরিয়ে আসে নবকৃষ্ণের রক্ষিতা দুর্বা। নবকৃষ্ণের বন্দুক লুট করে পান্থকে সাহায্য করার চেষ্টা করে সে। এভাবেই এগিয়ে যায় মনোজ মিত্রের পাকে বিপাকে নাটকের কাহিনী।
Purchase Ticketরক্তস্নাত লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটেছিল। একাত্তরের এই লড়াইয়ে সব শ্রেণি পেশার মানুষ সকল স্বার্থকে ভুলে এক কাতাওে এসে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহন ছিল উল্লেখ করার মত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ও আশেপাশের এলাকাকে অবলম্বন কওে রচিত হয়েছে লামিসা শিরীন হোসাইনের গল্প। উল্লিখিত গল্পের নাট্যকাঠামো ‘ কালরাত্রি’। একজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেও প্রাণিত করছে লড়াইয়ে নামতে। অসহযোগ আন্দোলনেরপর্ব থেকে তাঁরা পাকিস্তান রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।মার্চেও কালরাতে বেচেঁ যাওয়া জগন্নাথ হলেরএকজন ছাত্র জানায় সে রাতের বিশ্ববিদ্যালযের ভয়াল চিত্র আর তার সঙ্গে ছিলেন একজন শিক্ষক। সব এসে দাড়াঁয় এক স্থানে। মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পথ প্রদর্শকের চোখে যে বাংলাদেশ বেঁচেছিল এর কথাই বলা হয়েছে নাট্যকাহিনীতে।
Purchase Ticketবিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব মণীশ মিত্রের সামগ্রিক পরিকল্পনা ও পরিচালনায়, কসবা অর্ঘ্য নাট্যগোষ্ঠীর এই নাটকটি ইতিমধ্যেই কলকাতাসহ দেশের নানা প্রান্তে মঞ্চস্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশের পাশাপাশি এর আগেও বিশ্বের নানা জায়গায় মঞ্চস্থ হয়েছে এবং কুর্নিশ আদায় করে নিয়েছে ‘ম্যাকবেথ বাদ্য’। নাটক: ম্যাকবেথ বাদ্য, নির্দেশনা, আলো: মণীশমিত্র, অভিনয়: কৌস্তভগুপ্ত, আবহ নির্মাণ: সম্যব্রত মুখার্জি, আবহ প্রক্ষেপণ: শুভজিৎ চক্রবর্ত্তী
Purchase Ticket“একটা জাতি বা সভ্যতা কে ধ্বংস করতে কামান বারুদ লাগেনা, যদি সেই দেশের বা জাতির শিক্ষার গোড়াটা কেটে দেয়া যায় তাহলেই জাতি বা দেশ ধ্বংস হয়।” এই কথাটা নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন। আমাদের আজকের এই নাট্যের মধ্য দিয়ে সরকারি অবৈতনিক শিক্ষার বিষয়ে কিছু কথা বলেছি। শিক্ষা মানুষের সহজাত অধিকার। শিক্ষা মানুষকে বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন যুক্তিসম্পন্ন মানুষ করে তোলে যাতে সে যুক্তি দিয়ে সত্যের মুখোমুখি হয় শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে কিছু মানুষ তার অধিকার সম্পর্কে প্রশ্ন করুক। তাই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অবৈতনিক শিক্ষায় দুর্নীতি এসে বাসা বাঁধে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় মানুষ যাতে শিক্ষায় আলোকে সমৃদ্ধ না হয় তার চেষ্টা করে চলে ফলে সমাজব্যবস্থায় একটা অন্ধকারময় একটা পাঁক রূপে দুর্নীতি এসে বাসা বাঁধে। জগাখিচুড়ি নাটক এই প্রেক্ষাপটেই রচিত এবং একটি ব্যাখ্যামূলক স্যাটায়ার তৈরি করা হয়েছে। জগা মাস্টারের নানা ধরনের মজার ঘটনা এই নাটকের সম্পদ।
Purchase Ticketজেসমিন আক্তার জেসি পেশায় একজন প্রস্টিটিউট হলেও তিনি শিক্ষিত, রুচিশীল, আত্মমর্যদা বোধ সম্পন্ন একজন মানবিক মানুষ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরার পথে রাতের ট্রেনে একটা খুনের ঘটনা ঘটে তার বার্থে। সম্ভাব্য ঝুটঝামেলা এড়াতে তিনি কুমিল্লায় নেমে একটা হোটেলে ওঠেন। সেখানে একজন পয়সাওয়ালা খদ্দেরও পেয়ে যান তিনি। কিন্তু জেসি জানেন না, এ খদ্দের কোনো সাধারণ খদ্দের নন, তিনি একটা মিশন নিয়ে জেসির সাথে রাত্রিযাপন করেন। হোটেলে জেসির সাথে দেখা করতে আসেন এক আগন্তুক। এরপর শুরু হয় নানা রকম অঘটন-ঘটন। ট্রেনে যে লোকটি খুন হয়েছে, তারই কাকা এই আগন্তুক। নাম নরেশ। সাধারণ একটি কলেজের শিক্ষক। তিনিও ট্রেনে ছিলেন খুনের সময়। কিন্তু পরিস্থিতি এমন জটিল পর্যায়ে চলে যায় যে, নিজের জীবন বাঁচাতেই পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাকে। অন্যদিকে ট্রেনে খুনের ঘটনার যিনি হোতা, তাকে বাঁচাতে স্বার্থান্বেষী শক্তিশালী একটি মহল ষড়যন্ত্র ফাঁদে। খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেসি। জেসিকে হাত করতে পারলেই খুনিকে রক্ষা করা সম্ভব। আর এজন্যই কূটকৌশলে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে, জনতাকে উত্তেজিত করে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে, অর্থের লোভ দেখিয়ে, সর্বোপরি নারীর সংবেদনশীল কোমল মনের দুর্বলতাকে ব্যবহার ক’রে ক্ষমতাধর স্বার্থান্বেষী মহল খুনিকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। জেসিকে হাত করার নানারকম কৌশলী খেলা খেলতে থাকেন মিস্টার চৌধুরী ও তার ছেলে বীর। কিন্তু জেসিও যে সে নারী নন। তিনি যেমন বুদ্ধিমতি, তেমনি সাহসী। একই সাথে সত্যনিষ্ঠ ও ন্যায়পরায়ণ, সেই সাথে সংবেদনশীলও । ফলত শুরু হয়, মিথ্যার সাথে সত্যের, স্বার্থের সাথে নিঃস্বর্থের, ধুরন্ধর-কৌশলের সাথে সরল-অটল দৃঢ়তার দ্বন্দ্ব-সংঘাত, নাটকীয়তা। ঘটন-অঘটন-দুর্ঘটনের রুদ্ধশ্বাসে কাহিনী এগিয়ে যায় পরিণতির দিকে। কী সেই পরিণতি? সেটুকু উন্মোচিত হবে নাটক দর্শনে।
Purchase Ticketএ দেশ ক্ষুদিরামের দেশ, এদেশ বাঘা যতিনের দেশ, এ দেশ বাঁশের কেল্লার সমরনায়ক তিতুমীরের দেশ। এ দেশ শত্রুর মুখে পদানত না হওয়ার প্রত্যয়ে দৃঢ়সাহসী কন্যা প্রীতিলতার দেশ। এতো গেল জানা ইতিহাস। কিন্তু এর বাইরে এ দেশ যে গর্ব এবং অহংকার ধারণ করে আছে তার সিংহভাগ হলো প্রায় অলিখিত এবং অজানা। আর তার স্রষ্টা হলো নিরক্ষর কৃষক শ্রেণী। নানকার পালা আখ্যানে ঐতিহাসিক সত্যতার সেই বীজ নিহিত রয়েছে। পূর্ব বাংলায় সিলেট জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জমিদারীরা কৃষকদের উপর যে নিপীরণমূলক প্রথা চাপিয়ে দেয় তার প্রেক্ষিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে নেমে আসে মানবিক বিপর্যয়। তবু তারা মুখবুজে নিশ্চুপ থাকে না। নিরন্ন মানুষগুলি মধ্যে তাদের যাপিত জীবনের বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াস, দ্বিধা-দ্বন্দ, সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ থাকে, তার বয়ান এই নানকার পালা।
Purchase Ticketএ নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একাত্তরে পাকসেনা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার রৌশনারাকে কেন্দ্র করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনের সাথে সাথে পাকিস্তানি জন্তুদের বাংকার থেকে মুক্ত হয়ে রৌশনারা ঘরে ফিরে আসে। রৌশনারার এই প্রত্যাবর্তনে পরিবারের সবাই আপাত খুশি হলেও তার পিছনে ছিল তাদের আত্মপ্রতিষ্ঠার লোভ। রৌশনারার জীবনের বিষাদময় আখ্যানকে পুঁজি করে তার স্বামী-শ্বশুর সবাই সামাজিক প্রতিষ্ঠা ও প্রতিপত্তি লাভ করেছে। স্বার্থসিদ্ধির পর রৌশনারার স্বামী-শ্বশুর অচিরেই শুরু করে তার গর্ভের সন্তান লালনকে নিয়ে সন্দেহ। এ সন্তান তার স্বামীর ঔরশজাত হলেও তা বিশ্বাস করানো সহজ ছিল না। কেননা গর্ভধারণের আনন্দময় সংবাদটি স্বামীকে জানানোর আগেই পাকসেনারা তাকে ধরে নিয়ে যায় সেনা ছাউনিতে। ইতোপূর্বে তার গর্ভের সন্তান লালনকে আত্মপ্রতিষ্ঠার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করলেও প্রয়োজন ফুরালে পরিবারের সদস্যরাই তাকে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর হত্যার সাক্ষী রৌশনারাকে মানসিক ভরসাম্যহীন রোগী হিসাবে চিহ্নিত করে বন্দিজীবন কাটাতে হয় হাসপাতালে।
Purchase Ticketলকডাউনের বন্দি দশায় পৃথিবী যখন থমথমে - সারাবিশ্ব মহামারির কবলে, ঠিক এই সময়েই আমি গৃহবন্দী অবস্থায় একাকীত্বে নিজেকে অন্যভাবে উপলব্ধি করেছি। একজন শিক্ষক হয়ে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে একজন ছাত্র ছাড়া একজন শিক্ষকের অস্তিত্ব নেই।সেই সাথে অবচেতন মনের সুপ্ত অনুভূতিগুলোও হঠাৎ বেরিয়ে আসে। এ গুলি প্রতিটি মহিলার ব্যক্তিগত অনুভূতি।তখন বেশ কিছু মেয়ের সুপ্ত অনুভূতির সাথে পরিচিত হলাম। যার মধ্যে হতাশা, ক্ষোভ, আকাঙ্ক্ষা, ভয় সব কিছুই বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল এবং তা থেকেই “SILENCE” এরজন্ম।
Purchase Ticket১৯৩৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারত বর্ষের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিপ্লবী সূর্যসেন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।অনতিকাল পরে তার কেশ্বরদস্তিদার এবং কল্পনাদত্ত ও ধরা পড়েন। ১৯৩০ সালের ২৪ জুলাই দায়ের কৃত চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলায় তিন জনের বিশেষ আদালতে বিচার হয়। অতিদ্রুত বিচারকাজ শেষ করে ১৯৩৩ সালের ৪ আগস্ট সূর্যসেন ও তার কেশ্বরদস্তিদারকে ফাঁসির আদেশ এবং কল্পনাদত্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়াারি চট্টগ্রাম কারাগারে সূর্যসেন ও তারকেশ্বরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে 'ট্রায়াল অব সূর্যসেন' নাটকটি সেই বিচার প্রক্রিয়াকে পুননিরীক্ষণ করে। চরিত্র চিত্রণ এবং বর্ণনা ধর্মী-জিজ্ঞাসার মধ্য দিয়ে মঞ্চে এই সত্য উন্মোচিত হয় যে, 'ন্যায়' ভূলুণ্ঠিত করে ছিলো এই বিচারপ্রক্রিয়া এবং পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হয়েছিলো সূর্যসেন-হত্যার অন্যায়কে বৈধতা দানের উদ্দ্যেশ্যে।প্রহসনমূলক এই বিচার কার্যক্রমের অসারতা তুলে আনার পাশাপাশি এ নাটকে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রিটিশ দখল দারিত্বের অন্যায্যতার বিপরীতে স্বাধীনতাকামী বৈপ্লবিক দার্ঢ্যের মহান চেতনা। এই সাথে প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ব বঙ্গে জন্মনেয়া বিপ্লবী সূর্যসেন স্বাধীনতা- আকাঙ্ক্ষার যে বীজ এ মাটি তে রোপন করেছিলেন, একটি ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে তা পল্লবে-পুষ্পে পরিপুষ্ট হয়েছে আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে; বাংলাদেশ-রাষ্ট্রের জন্মে।
Purchase Ticket২৫ মার্চ ১৯৭১ মধ্যরাত। পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের আপামর জনতা গভীর নিদ্রায় শায়িত।ঠিক ঐ সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র নিরাপরাধ মানুষের উপর অতর্কিত গুলি চালিয়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। আর এরই মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ তথা পূর্বপাকিস্তানের বিরুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তা জেনারেল ইয়াহিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে চলতে থাকে নানা ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের মধ্য হতে বেরিয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন দেশের স্বার্থ ও তাদের সংশ্লিষ্টতা। নাটকে দেখা যায়- এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশের স্বার্থ, ক্ষমতা, আধিপত্য আর ভূ-রাজনীতির খেলা।বাংলাদেশের মতো ছোট একটি ভূখন্ডকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিশ্ব রাজনীতিতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। কারাগারে মানবেতর জীবন। তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার নানা ষড়যন্ত্র চলছে, কবর খোঁড়া হচ্ছে। তবুও মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সিদ্ধান্তে অটল, অনড় এবং অবিচল। যার ফলাফল, পাকিস্তানের পরাজয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। পাকিস্তানে ক্ষমতার পালা বদল হয়। বঙ্গবন্ধু মুক্তি পায়। কিন্তু অবসান কি হয় ভূ-রাজনীতির? এই নিয়ে নাটক ‘সলিটারি কনফাইনমেন্ট’।
Purchase Ticketবহুদিন ধরে চলে আসা প্রথাকে কঠোর নিয়মের আবদ্ধে পালন করতে গিয়ে সময়ের আবর্তনে অচলায়তন বিদ্যায়তনের কোনো পরিবর্তন হয়না। এখানকার বিদ্যার্থীরাও কোনো প্রশ্ন ছাড়াই তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবতীয় নিয়ম ও অনুশাসন মেনে চলে। অচলায়তনের বাইরের জগতের সাথে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই, এমনকি যোগাযোগ করার বিন্দুমাত্র আগ্রহ প্রকাশ পাওয়াটাও তাদের জন্য ‘মহাপাপ’-এর নামান্তর! এই বিদ্যায়তনের দুই শিক্ষার্থী - পঞ্চক ও মহাপঞ্চক – তারা আপন ভাই হলেও তাদের জীবন দর্শন বিপরীত।পঞ্চক বিদ্রোহী মনোভাবসম্পন্ন, যে সকল গতানুগতিকতাকে প্রশ্ন করে এবং অচলায়তনের নিয়মতান্ত্রিকতার ত্রুটিসমূহকে চিহ্নিত করে। অপরদিকে মহাপঞ্চক গতানুগতিক চিন্তাপ্রবাহে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে এবং বিদ্যায়তনের সকল নিয়মকেই বিনাপ্রশ্নে অনুসরণ করে। এই দুই ব্যক্তির মধ্যকার যে ইচ্ছার দ্বন্দ্ব তা আরও দৃঢ়ভাবে প্রকাশিত হয় যখন অচলায়তনে একটি ছোট্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র নিয়মতান্ত্রিকতাকে অটুট রাখার স্বার্থে অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত নেয়া হতে থাকে। এরই মধ্যে প্রেক্ষাপটে উপস্থিত হন গুরু বা দাদাঠাকুর এবং বাইরের বাস্তব জগত ও সেই জগতের মানুষদের সাথে অচলায়তনের বিদ্যার্থীদের পরিচয় ঘটে প্রায় যুদ্ধের ডামাডোলের ভিতর। পুরনো চিন্তার প্রাচীন দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে আর শুরু হয় নতুনের স্পন্দন।
Purchase Ticketমাদার কারেজ অ্যান্ড হার চিলড্রেন এর প্রেক্ষাপট সপ্তদশ শতকের ইওরোপের ধর্মযুদ্ধ। ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট- এই দুই ধর্মাচারে বিভক্ত হয়ে ইওরোপের মানুষ পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলতে থাকা সে যুদ্ধে জার্মানির জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল। আর বেঁচে যাওয়া মানুষেরা মুখোমুখি হয়েছিল মহামারি,প্লেগ, আর দুর্ভিক্ষের মতো নানাবিধ বিভীষিকার । এই যুদ্ধের ভেতর এনা ফিয়ার্লিং নামের এক নারী একটি ভ্রাম্যমাণ ক্যান্টিন নিয়ে বিভিন্ন রণক্ষেত্রে ঘুরে বেড়ায়। যুদ্ধের সাথে ব্যবসা করতে গিয়ে সে একে একে তার সব সন্তানদের হারায়; কিন্তু সাহসটা হারায় না। ব্রেখট সম্ভবত বিংশ শতকের সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী নাট্যকার ও তাত্ত্বিক । আড়াই হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠা পাশ্চাত্য নাটকের গঠন কাঠামোকে তিনি দুমড়ে মুচড়ে ভেঙেছেন। এরিস্টটলের ক্যাথারসিস তত্ত্বকে বাতিল করেছেন। অথচ ব্রেখট পাঠ করলে অনুধাবন করা যায়, কী গভীরভাবে ক্যাথারসিসকে তিনি আলিঙ্গন করেছেন এবং তারপর ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। ব্রেখটের অপরাপর নাটকের তুলনায় মাদার কারেজের প্রেক্ষাপট অধিকতর বিস্তৃত। নাটকের প্রায় কুড়ি বছরের ঘটনাক্রমে এরিস্টটলের ত্রি-ঐক্যের স্থানালাভের সুযোগ নেই। মাদার কারেজ অ্যান্ড হার চিলড্রেন শুধু ব্রেখটীয় এপিক থিয়েটার-এর অন্যতম সেরা কীর্তি-ই নয়, আপন শৈলিতেও এপিক ।
Purchase Ticketজীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প, রাইজ অ্যান্ড শাইন ! এ আমাদের সবার গল্প। প্রায় সকল নারীর, সকল মায়ের, সকল কর্মজীবী নারীর গাথা। মঞ্চে হয়তো শুধুই একজন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি আপনার চেনা যেকোনো নারীর সাথে মিলিয়ে নিতে পারবেন তার জীবন। প্রতিদিন সকালে রাস্তায় দলে দলে যে নারীদের আমরা রাস্তা পার হতে বা ফুটওভার ব্রীজে উঠতে ও নামতে দেখি, তেমনই এক নারীর সকাল থেকে শুরু হওয়া জীবনাচার, তার রোজনামচা, সংসারের ‘ঘ্যান-চক্কর’ চুপচাপ সয়ে যাওয়া জীবন, মাল্টিন্যাশনাল ক্রেতার জন্য তৈরি পোশাকের কারখানায় ওভারটাইম, ‘ভাদাইম্যা’ স্বামীর বদমেজাজ এবং একদিন সব ছেড়ে জ্বলে ওঠার চেষ্টার নাম রাইজ অ্যান্ড শাইন – জেগে উঠবো না কেন!
Purchase Tickethossain@beximco.ne
president
Syed Tasnin Hossain Tanu President Padatik Nattya Sangsad
Vice president
Syed Ishtiaque Hossain (Tito) Vice president - (Padatik Nattya Sangsad)
62 Concord Oviliash, Flat 1/C, Dhanmondi 11/a Dhaka Bangladesh
01680396460